বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

ধর্ষকদের বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিচার দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।

তারা আরও বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে যখন ছাত্র সমাজ রাজপথে নামে, সেই প্রতিবাদ ও আন্দোলন কর্মসূচিতে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করা ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ হাজার ছাত্রী

পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসেন তারা। চতুর্থ দিনের কর্মসূচিতে আরও রয়েছে প্রতীকী ফাসি কার্যকর, বিক্ষোভ মিছিল এবং ধর্ষণ বিরোধী প্রতিবাদী নাটক ও সন্ধায় মশাল মিছিল।

প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র সৌরভ বিশ্বাস বলেন, এই জঘন্য ঘটনার জন্য গত তিন দিনের মতো আজও ধর্ষকদের বিচার দাবিতে এবং আমাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষার দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চলবে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ২৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের অটোতে তুলে নেওয়া হয়। পরে ৭-৮ জন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে বন্ধুকে মারধর করে ওই শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথমে সদর থানা এবং পরে মহাসড়ক অবরোধ করে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় প্রথম দফায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় কয়েকজন আহত হন। এরপর দ্বিতীয় দফায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৩০ জন আহত হন।