বিদায়ের দিনেও জাবিতে উপাচার্য ফারজানার বিরুদ্ধে মিছিল 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের শেষ কর্মদিবসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (২ মার্চ) বিকাল ৫টায় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এলে রাস্তা আটকে দেন উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা। সেখানে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বাকবিতণ্ডা চলে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পথ ছাড়তে বাধ্য হন শিক্ষকরা।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবু সাঈদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, মাস্টারপ্ল্যান সংশোধনের দাবি, তদারক কমিটির গঠন, সর্বদলীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কমিটির কাছে প্রকল্পের সব কাজের হিসাব বুঝিয়ে দেবেন বলে স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু এর বাস্তবায়ন ঘটেনি। নিজের আশপাশের শিক্ষকদের দ্বারা তৈরি করেছিলেন তদারক কমিটি। তার অবহেলায় দুজন মৃত্যুবরণ ও দুজন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।

ju

তিনি আরও বলেন, নতুন উপাচার্যকে মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা করতে হবে। অন্যথায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলবে না। ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগের তদন্ত করতে হবে। এ দেশে একজন রিকশাওয়ালা চুরি করলে শাস্তি পায়, কিন্তু উপাচার্যের দুর্নীতির শাস্তি হবে না- তা আমরা মেনে নেবো না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২ মার্চ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম জাবির দায়িত্ব পান। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে আবার উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ, আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছাত্রলীগকে ঈদ সালামি দেওয়া, উত্তপ্ত শিক্ষক রাজনীতি, জাকসুর দাবি, সমাবর্তন না করতে পারা, গুরুত্বপূর্ণ  পদসমূহে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কাজ চালানো নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি।