বাঙালি সংস্কৃতিতে ক্যাম্পাসে নেপালি শিক্ষার্থীর গায়েহলুদ

গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়া হবে না বন্ধুদের, তাই ক্যাম্পাসেই বান্ধবীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে মেতেছেন সহপাঠীরা। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বাঙালি সংস্কৃতিতে নেপালি এক শিক্ষার্থীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠান করেছেন শিক্ষার্থীরা।

নেপালের মেয়ে সৃজানা বিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী। শুক্রবার (০১ এপ্রিল) ক্যাম্পাসের কৃষি বনায়ন রিসার্চ ফিল্ডের পাশে বাঙালি সংস্কৃতিতে সৃজানার গায়েহলুদের আয়োজন করে কৃষি অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল কনের আইবুড়ো ভাত। সেই সঙ্গে কনেকে আলতা এবং গায়েহলুদ দেওয়া হয়েছে।

গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার প্রামাণিক, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্সেস অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মাসুমা পারভেজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য নেপালি  শিক্ষার্থী।

সৃজানার সহপাঠী সিয়াম-উল-হক রাসেল বলেন, ‘নেপালে সাধারণত বাঙালিদের মতো গায়েহলুদ হয় না। তাই সৃজানার খুব ইচ্ছে ছিল আমাদের সংস্কৃতির মতো যেন তার গায়েহলুদের আয়োজন করি। ঈদের ছুটিতে তার বিয়ে। আমাদের পক্ষে নেপালে সৃজানার বাসায় যাওয়া সম্ভব নয়। তাই ক্যাম্পাসে গায়েহলুদের আয়োজন করেছি। নুসরাত নওরীন অর্পা, সুমাইয়া বিন্থি, আফসানা মুবাশ্বেরা সূচনাসহ বান্ধবীরা এই আয়োজন করেছি।’

সৃজানার আরেক বান্ধবী নুসরাত নওরীন অর্পা বলেন, ‘ক্যাম্পাস জীবন শেষে কে কোথায় থাকবো, সেটা বলা যাচ্ছে না। বান্ধবীদের বিয়েতে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কিনা ঠিক নেই। সৃজানার বাসায় যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বান্ধবীর গায়েহলুদের দিনটাকে স্মরণীয় করার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে অনেক ভালো লাগছে। ক্ষুদ্র পরিসরে আয়োজন হলেও অনেক ভালো একটা দিন কেটেছে সবার।’

সৃজানা বলেন, ‘নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। কখনও ভাবিনি আমার বন্ধু-বান্ধবীরা গায়েহলুদের আয়োজন এভাবে করবে। আমাদের নেপালের সংস্কৃতিতে এমনটা হয় না। বাঙালি সংস্কৃতিতে এই গায়েহলুদ আমার জীবনের বিশেষ স্মৃতি।’