নতুন বছরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ঢাবি ভিসির

নতুন বছরের উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। উপাচার্য বলেন, একটি বছর শেষে আরেকটি নতুন বছর হয়, সেই নতুন বছরকে আমরা বরণ করি। নতুন বছরে প্রত্যাশা—আমাদের যে উন্নয়নের ধারা সেটি যেন চলমান থাকে এবং মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটে। মানুষের মাঝে মানবিক ও সম্প্রীতির বন্ধন যেন সুদৃঢ় হয়। সেটিই এই নতুন বছরের প্রত্যাশা।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে আমার এই রাষ্ট্রের মঙ্গল কামনা করছি। গত দুই বছর আমরা করোনার কারণে এই শোভাযাত্রা করতে পারিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় আবারও আমরা আদি রূপে ফিরে এসেছি। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এটি শুধু ঢাকায় নয়, জেলা ছাপিয়ে ৪৯৩টি উপজেলায় মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে।

শোভাযাত্রা শেষে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে জনসাধারণের অবহেলার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে

মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, আমরা করোনার কারণে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। যে অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রাণ দিয়ে অপেক্ষা করি সেখানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যায়। একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা বহু রকমের চেষ্টা করেও তা নিশ্চিত করতে পারিনি। মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছে। এতো প্রচার-প্রচারণা ও নির্দেশনা সত্ত্বেও তারা তা অমান্য করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে ডিএমপি ঝুঁকির আশঙ্কাকে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সকল ধরণের ঝুঁকি মোকাবিলায় ডিএমপি সর্বদা প্রস্তুত। সব মিলিয়ে আমরা পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

ডিএমপি থেকে দুপুর ২টা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে কেন বলা হয়েছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'আসলে এখানে ২টা, ৫টা—এমন নয়। পরে নিরাপত্তা শিথিল হয়ে আসবে, এটা সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছি, সবাই যেন সতর্ক থাকে। এবং রমজান মাসে যেনো আপনি সময় মতো বাসায় চলে যেতেন পারেন, আমরা যেন ট্রাফিকটা ক্লিয়ার করে দিতে পারি—এটিই ছিল টাইমিং নিয়ে আমাদের কথা।