জবির ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল

দরজায় ৩৫০ টাকার তালা, আদায় হয় ৮০০ 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কক্ষের তালা-চাবি নিয়ে ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। কক্ষগুলোতে লাগানো তালা ফ্রিতে দেওয়ার কথা বলা হলেও চাবি বাবদ জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। তবে একই চাবি দিয়ে একাধিক তালা খোলা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসব বিতর্কের মুখে শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া টাকা ফেরতের কথা জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ১৬তলা বিশিষ্ট হলটিতে সর্বমোট ১৫৬টি কক্ষ রয়েছে। প্রতি কক্ষে আট জন করে শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন। হল কর্তৃপক্ষ প্রতি রুমে একটি করে তালা ফ্রিতে দিলেও চাবি বাবদ শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ তালা প্রতি ৮০০ টাকা করে আদায় হয়।  

তবে পুরান ঢাকার একাধিক হার্ডওয়্যারের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলিফ প্রিমিয়ারের একই তালা দোকান ভেদে ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। আট চাবিসহ তালা ৩৫০ এবং ১২ চাবিসহ একটি তালা ৪২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। 

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফিয়া আঞ্জুম সুপ্তি বলেন, ‘হল কর্তৃপক্ষ বলছে তালা ফ্রি, চাবি বাবদ রুমের আট জনের থেকে ৮০০ টাকা নেওয়া হয়। যা একটি তালার বাজারমূল্যের তুলনায় দুই-তিনগুণ বেশি। এছাড়া তালার সঙ্গে চাবি এমনিতেই থাকে, তাহলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়? আর চাবি বানালেও এত টাকা লাগে না। তার ওপর এক চাবিতে একাধিক কক্ষের তালা খোলা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনও নিরাপত্তা থাকছে না।’

এদিকে সমালোচনার মুখে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের থেকে চাবি বাবদ নেওয়া টাকা ফেরতের কথা জানিয়েছে।  

তালা-চাবি ক্রয় ও বণ্টন কমিটির আহ্বায়ক ও হলের আবাসিক শিক্ষক প্রতিভা রাণী কর্মকার বলেন, ‘আমরা সরাসরি কোম্পানি থেকে তালা কিনেছি। পরে হল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ৮০০ টাকা নেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু দায়িত্ব পালন করেছি। তবে তালা নিয়ে যেহেতু এত সমস্যা, কোনও শিক্ষার্থীকে আর তালা-চাবি দেওয়া হবে না। তারা নিজেদের মতো তালা কিনে কক্ষে ব্যবহার করবে। পরবর্তী কর্মদিবসে অর্থাৎ রবিবার থেকে যারা টাকা দিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’ 

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিয়েও কথা বলা সম্ভব হয়নি। অফিসে গেলেও তার দেখা মেলেনি।