নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিনয়ে যাত্রাপালা ‘মধুমালা’ 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ‘মধুমালা’ নামে একটি যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হয়েছে। কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনে শুক্রবার (২৭ মে) রাতে যাত্রাটি মঞ্চস্থ হয়।

কাজী নজরুল ইসলামের গীতিনাট্য‌ ‘মধুমালা’ অবলম্বনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মুক্তমঞ্চে যাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক হীরক মুশফিকের নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশ নেন।

যাত্রাপালায় মদন কুমারের চরিত্রে অভিনয় করেন ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ (এফএমএস) বিভাগের শিক্ষক ও পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। তার বিপরীতে মধুমালা চরিত্রে অভিনয় করেন একই বিভাগের শিক্ষিকা মাশকুরা রহমান রিদম। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষক-শিক্ষিকা যাত্রাপালায় অংশ নেন

এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, সংগীত বিভাগের শিক্ষক ড. জাহিদুল কবীর এবং তন্বী সাহা, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ড. মার্জিয়া আক্তার, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সোহেল রানা ও আসলাম মাহমুদ, চারুকলা বিভাগের শিক্ষক মাসুম হাওলাদার, এফএমএস বিভাগের শিক্ষক তুহিনুর রহমান (তুহিন অবন্ত), নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আল জাবির ও মেহেদী তানজীর, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আসিফ ইকবাল আরিফ ও স্বপ্না পাপুল, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নাহিদুল ইসলাম, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের  জাহিদুল ইসলাম, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক সাজন সাহাসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

Nazrul-2

নির্দেশনক হীরক মুশফিক বলেন, ‘একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রজন্মের সঙ্গে নিজস্ব সংস্কৃতির মেলবন্ধনের সেই দায় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের এই অংশগ্রহণ। এমন একটি কাজে যুক্ত থাকতে পেরে আমি আপ্লুত। উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সঙ্গে প্রযোজনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই মেলবন্ধন নিশ্চয়ই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে।’

উল্লেখ্য, ‘মধুমালা’ নজরুল ইসলাম রচিত একটি গীতিনাট্য। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর ১৯৬০ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। রূপকথা বা ঐতিহ্যের আদলে নাটকটি রচিত হয়েছে। মদন কুমারের স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা মধুমালা এবং তাকে খুঁজতে গিয়ে প্রণয়ে আবদ্ধ কাঞ্চনমালার মধ্যে ত্রিভুজ প্রেমের গল্প ও মধুমালার ট্র্যাজিক পরিণতি নিয়ে এই নাটক।