জাবিতে করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকায় জুনিয়রকে সিনিয়রের মারধর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের করিডোরে দাঁড়িয়ে থাকায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. মাশরুল আলম আজমী। তিনি প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের জাহিদ হাসান ও মো. নাঈম হাসান। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।

অভিযোগপত্রে মাশরুল আলম উল্লেখ করেন, ‘দুপুর ১টার দিকে নিজ ফ্যাকাল্টির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের করিডোরে স্ত্রীর জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। এ সময় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাঈম আমাকে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ডিপার্টমেন্টে আসতে নিষেধ করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার বিভাগের এক বন্ধু এগিয়ে আসলে তাকেও গালাগালি করেন। বিভাগের নিচে নামার পর আমি ও আমার বন্ধুর ওপর আবার চড়াও হয়। একপর্যায়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদ আমার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন এবং আমাকে হলে গিয়ে মারধর করবে বলে হুমকি দেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘ঘটনাটা আমি শুনেছি। সে ছাত্রলীগ করুক বা আমার হলে থাকুক অপরাধী তো অপরাধীই। যদি সে অপরাধ করে থাকে এবং উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ থেকে থাকে তবে এর কঠোরতম বিচার হোক।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ‘সে আমাদের বিভাগের করিযোরে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকে। এ নিয়ে বিভাগের অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ দেয়। এজন্য তাকে আমরা করিডোর থেকে চলে যেতে বলি। আমি তাকে মারধর করিনি, শুধু নিজের ডিফেন্স করেছি। মূল ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেনি, আরেকজনের সঙ্গে ঘটেছে।’

এদিকে অভিযুক্ত নাঈমের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তবে প্রত্যেকবার কল কেটে দেন তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।