এবারও গুচ্ছেই থাকবে ইবি

গুচ্ছ প্রক্রিয়ার ভর্তি পদ্ধতির বিরোধিতা করলেও ফের একই পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানূর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ইবি গুচ্ছে গেলে শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীর নগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিসহ (বিইউপি) সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছের আওতায় আনা, জটিলতা ও ভোগান্তি দূরীকরণ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয়ের যাবতীয় অর্থের হিসাব পেশ, আবেদনের যোগ্যতার ভিত্তিতে সব ভর্তিচ্ছুকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, আগামী বছর থেকে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে ইবিকে গুচ্ছের নেতৃত্ব দেওয়াসহ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়ে গুচ্ছের পক্ষে মত দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। গত ৩১ মে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ১৫৬ জন শিক্ষকের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, আগামী ৩০ জুলাই থেকে ২০২১-২২ শিক্ষবর্ষের গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এবারের গুচ্ছভর্তিতে মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করবে। গতবারের মতো এবারও নেতৃত্ব দেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে গত ৩ এপ্রিল ইবি ফের গুচ্ছে গেলে ভর্তি কার্যক্রমে শিক্ষকরা অংশ নেবেন না বলে এক সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নেতারা। এ নিয়ে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম কয়েক দফায় বসলেও শিক্ষকরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় বলে জানিয়েছিলে। কিন্তু শেষে এসে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়ে গুচ্ছের পক্ষে মত দিয়েছেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানূর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছের পক্ষে থাকার কারণে সাত-আটটি শর্ত জুড়ে দিয়ে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যে জটিলতা হয়েছে সেটি এবার হবে না, কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না বলে আমাদের চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। এসব শর্ত উপেক্ষিত হলে আগামী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে আমরা গুচ্ছে যাবো না।