জাবিতে সাবেক উপাচার্য ফারজানার আমলের বাজেট অনুমোদনে আপত্তি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সাবেক উপাচার্য ফারজানা ইসলামের সময়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০২০-২১ ও ২১-২২-এর রেকারিং বাজেট অনুমোদনে আপত্তি জানিয়েছেন সিনেটরদের একটি অংশ। সিনেট অধিবেশনের ৪ ও ৫ নং আলোচ্যসূচিতে এই তিন অর্থবছরের সংশোধিত ও রেকারিং বাজেট অনুমোদনের জন্য তোলা হয়।

এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘ইউজিসির নজরে জাবির অনলাইন কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে। অনলাইন নিয়োগ পর্যন্ত হয়েছে। আমরা দেখেছি, ঢাবিতে করোনার কারণে অনলাইনে সিনেট অধিবেশন হয়েছে। তবে কোনও এক অদৃশ্য কারণে জাবিতে দুই বছর সিনেট অধিবেশন হয়নি। এই দুই বাজেট ১৪৪৫ কোটি টাকা এসেছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট-সিন্ডিকেট ছাড়া কোনও কার্যক্রম অনুমোদন হয় না। অর্থ কমিটি সিনেটে পাস হয়নি। যদি কোনও নজির দেখাতে পারেন তাহলে আমরা পাস করে নেবো।’

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থ কমিটি এবং সিনেটে রিপোর্ট করেছি।’

জবাবে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, ‘আমাদের এখানে বাজেট এসেছে, আমরা কেন তা পাস করবো না? কিন্তু যা ঘটেছে তা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ এর আইন দ্বারা পরিচালিত। সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েটদের একটা ভূমিকা থাকে। যে দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে সেটা এক অদৃশ্য কারণে সম্পূর্ণ আড়াল করে পাস করা হয়েছে? আমরা কিছু না দেখে না শুনে অনুমোদন করে দায় নিতে পারি না।’

এ সময় রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দীন খান বলেন, ‘আমরা জানি এই সিনেটে আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। ম্যান্ডেটরি প্রভিশন এড়িয়ে গেলে দায়িত্ব পালন করা হবে না। সিনেটকে এমন কিছু করা যাবে না যাতে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। উপাচার্য কর্তৃক নির্ধারিত দিনে বার্ষিক সভায় উপস্থাপিত হতে  হবে। বাস্তবায়নের পর এজেন্ডা সিনেটে বিবেচনার জন্য আনা হয়েছে। এ সময়ের কার্যকাল নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হয়েছে। এ পর্যায়ে সিনেট সদস্যরা এর দায়িত্ব নিতে পারি না। আমরা ৪ ও ৫নং আলোচ্যসূচি পাস করতে রাজি নই।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘ তিন বছর পর আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম সিনেট অধিবেশন হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অধিবেশন এখনও চলমান।