যবিপ্রবির প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এবার অধ্যাপকের মানহানির মামলা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ। 

রবিবার (৭ আগস্ট) আদালতে এই মামলা করেন তিনি। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল। অপরদিকে, মামলার বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলীমিজানুর রহমান। এর আগে অধ্যাপক ইকবালের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারিতে সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপনা কাজের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রেজেন্টেশন টেকনোলজিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কাজের দেখভালের দায়িত্ব দেন নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানকে। কিন্তু তিনি দায়িত্ব পালনকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্তের জন্য অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে।

তদন্ত শেষে কমিটি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারিতে সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ ও স্থাপনা কাজের বিষয়ে রেজিস্টার বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এই প্রতিবেদন দেওয়ার পর মিজানুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর অধ্যাপক ইকবালের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকির মিথ্যা অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টেন্ডারের টাকা একই প্রতিষ্ঠানের বহিষ্কৃত সাবেক ছাত্র আজিজুলকে দেওয়ার জন্য বলেন অধ্যাপক ইকবাল। তিনি অস্বীকৃতি জানালে ওই সময় আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ জুন আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করি। ওই মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। রবিবারের মামলাটি আমরা করা মামলার কাউন্টার।’

অধ্যাপক ড. ইকবাল বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি জানতে পারি। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য দিয়েছেন। এতে আমার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। সে কারণে আদালতে মামলাটি করেছি।’