জাবি উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন শুরু, একজনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় সিনেট হলে এক বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে নির্বাচন শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের বিধি অনুসারে রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক তিন সদস্যের একটি প্যানেল মনোনয়ন/নির্বাচনের জন্য নামের প্রস্তাব আহ্বান করবেন। একজন সিনেট সদস্য সর্বোচ্চ তিন জনের নামের প্রস্তাব করতে পারবেন এবং ওই প্রস্তাব অপর একজন সিনেট সদস্য কর্তৃক সমর্থিত হতে হবে। তবে কোনও সদস্য তিন জনের কম ব্যক্তির নামও প্রস্তাব অথবা সমর্থন করতে পারবেন।

এদিকে নাম প্রস্তাবনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর আমির-মোস্তাফিজ-নিলীমা প্যানেলের প্রস্তাব করেন কায়কোবাদ হোসেন। এতে সমর্থন দেন মহব্বত হোসেন খান।

‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর একাংশের নূরুল-অজিত-এন্দেল্লাহ প্যানেলের প্রস্তাব করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ। তার এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন সিনেট সদস্য ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক হোসনে আরা।

‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’-এর অপর অংশের কাফি-মোতাহার-তপন প্যানেলের প্যানেলের প্রস্তাব করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক খালিদ কুদ্দুস। তার প্রস্তাবের সমর্থন দেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলী। তবে প্রস্তাবনা ও সমর্থনের পর এই প্যানেল থেকে অধ্যাপক মোতাহার হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এবারের উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন– অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আমির হোসেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের পৃথ্বিলা নাজনীন নিলীমা, বর্তমান উপাচার্য ও ‍পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূরুল আলম, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ্, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী, আইবিএর অধ্যাপক ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের ১১ (১) ধারা অনুযায়ী, উপাচার্য নিয়োগে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল নির্বাচনের দায়িত্ব সিনেটের। নির্বাচিত তিন জনের মধ্যে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে সিনেট। পরে রাষ্ট্রপতি একজনকে পরবর্তী চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন।