কুবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত, ক্যাম্পাসে শোডাউন ও অস্ত্রের মহড়া

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সংগঠনটির দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল শোডাউন ও অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিন দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে নেতা-কর্মী শোডাউন করে ও বাজি ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এক সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে বঙ্গবন্ধু হলের তৃতীয় তলা পর্যন্ত উঠে যেতে দেখা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সদ্য সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীরা হল থেকে রামদা, লাঠি, রড ও হকিস্টিক নিয়ে বের হয়ে আসেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্য সদস্যরা আসলে মোটরসাইকেল আরোহীরা দ্রুত চলে যান। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি মূল ফটকে পুলিশ মোতায়েন করে।  

আরও পড়ুন: কুবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

এতগুলো মোটরসাইকেল ক্যাম্পাসে ঢুকলো কীভাবে—এমন প্রশ্নে মূল ফটকে দায়িত্বরত আনসার জালাল মিয়া বলেন, ‘আমরা গেটেই ছিলাম। মোটরসাইকেল আরোহীদের কয়েকজন নেমে নিজেরাই গেট খুলে ঢুকে পড়ে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল শোডাউন

শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কমিটির নেতা-কর্মীদের দাবি, ক্যাম্পাসে হল দখল করতে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা ছাত্রলীগের একটি পক্ষ এমন কাজ করেছে। এ সময় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানকে শোডাউনে দেখা গেছে। এজন্য সাবেক কমিটির নেতারা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি তো ক্যাম্পাসের বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি বাড়িতে আছি।’

কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠনটি একটি পেশাজীবী সংগঠন। এখানে শুধু বঞ্চিত কর্মচারীদের নিয়ে কথা বলা হয়। রাজনৈতিক বিষয়টি ব্যক্তিগত ব্যাপার। ক্যাম্পাসে কী হয়েছে তা আমি জানি না।’

ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আগামীর কমিটিতে পদপ্রত্যাশী রেজা-ই-ইলাহী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমাদের কেউ সেখানে যায়নি। তারাই হামলা করে আমাদের দায় দিচ্ছে।’

এ বিষয়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও অন্য হলের প্রভোস্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলাম। উপাচার্য মহোদয় ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’