সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হত্যার হুমকি এবং অফিস কক্ষে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমাত আরা বেগমের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. হাকিমুল হক একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইসমাত আরা বেগম বলেন, ‘ড. হাকিমুল হক সকালে আমার অফিসে এসে তার একটি চিঠি স্বাক্ষর করাতে আসেন। এ সময় আমি তাকে আগের একটি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি এবং তা না হলে চিঠিতে স্বাক্ষর করবো না বলে জানাই। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য হুমকি দেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং টেবিলের গ্লাসও ভেঙে ফেলেন। কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে মারারও হুমকি দেন। ঘটনার দৃশ্য কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজে সংরক্ষণ হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, এর আগে অন্য আরেকজন শিক্ষিকাকেও তিনি এভাবে গালি দেন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে আসছেন। গত ১৬ অক্টোবরেও আমার সঙ্গে তিনি বাজে আচরণ করেন এবং গালি দেন। সহকারী প্রক্টর হওয়ার পর থেকে তার আচরণ বদলে গেছে বলে অভিযোগ করেন বিভাগীয় প্রধান। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হাকিমুল হক বলেন, অভিযোগগুলো সব মিথ্যা। আমি গতকাল সারারাত ধরে আমার একটা প্রজেক্ট রেডি করেছি। আমি একজনের মাধ্যমে আমার প্রজেক্ট পেপারটি স্বাক্ষর করার জন্য তার কাছে পাঠাই। কিন্তু তিনি আমার চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি। বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব ছিলো তার রুটিন দায়িত্ব পালন করা। তার কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, ওইটার ফুটেজ দেখলেই সব বোঝা যাবে।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভাগীয় প্রধান জামায়াতপন্থী একজন শিক্ষক। এর আগে, তিনি আমার ছুটির দরখাস্ত ফরওয়ার্ড করেননি। আজ আমাদের ডিনের একটা চিঠিতেও স্বাক্ষর করেননি। তিনি আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার সঙ্গে আরও একজন আছেন। এই দুই অসুস্থ লোকের কাজই হলো যেকোনোভাবে একটা ইস্যু তৈরি করা।’

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল- ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। তবে বিস্তারিত এখনও জানতে পারিনি। বিভাগের চেয়ারম্যান বা অন্য কেউ এখনও এ বিষয়ে কিছু জানাননি। বিভাগ থেকে যোগাযোগ না করা পর্যন্ত, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।