রাবিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি, বাতিল চান শিক্ষার্থীরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানান তারা। কর্মসূচি শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের প্রধান প্রথান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

শিক্ষার্থীদের তিন দফার দাবি হলো- অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে, পোষ্য কোটা বাতিল ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়াদের ভর্তি বাতিল করতে হবে। এছাড়া জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।  

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অযোগ্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্যই কি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? সাধারণত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোঠা রাখা হয়। তাহলে কি আমাদের শিক্ষকরা তাদেরকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী মনে করেন? আবার এরাই পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা হবে। আমরা এই অযৌক্তিক কোঠা বাতিলের দাবি জানাই।’

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, ‘আগের উপাচার্যের চেয়ে এই উপাচার্য আরও বেশি ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করিয়েছেন। উপাচার্য আসেন-যান, কিন্তু এসব অপকর্ম বন্ধ হয় না। তারা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বৈারাতান্ত্রিক কাঠামোতে রূপান্তর করেছেন। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনও অধিকার নেই। আমরা এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।’

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘ফেল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এই অনিয়ম কোনো ভাবেই সমর্থন যোগ্য না। যারা মিনিমাম ৪০ পেয়েও পাশ করতে পারে না। এমন অযোগ্যদের ভর্তির সুযোগ দিছে প্রশাসন। অযোগ্য শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। প্রশাসন যদি এই পৈত্রিক কোঠা বন্ধ না করে তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হবো।’ 

প্রসঙ্গত, এ বছর রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয় ৪০। কিন্তু পোষ্য কোটার অধীনে কৃতকার্য না হয়েও অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করেন।