জবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ছাত্রদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফফান মুবাইদুর রহমানকে  পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় এই ঘটনা ঘটে।

শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আরেফিন জানান, আফফান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায় তার ডান হাতের মাঝের আঙুল ভেঙে গেছে। এছাড়া হাতের অন্যান্য আঙুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, ঘাড় ও কপালেও গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আফফান।

শাখা ছাত্রদলের নেতারা জানান, ক্লাস শেষে দুপুরে খাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার দিকে গেলে আফফানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করেন শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। হামলার নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী মাহিমুর রহমান বিজয়। এ সময় একাধিক ছাত্রলীগ কর্মী বাঁশ ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে আফফান গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহামুদ জুয়েল।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, জবি শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুবাইদুর রহমানের ওপর বিনা কারণে ছাত্রলীগ হত্যার উদ্দেশ্য অতর্কিত হামলা করে এবং মারত্মকভাবে আহত করে।

শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ‌‌‘প্রথমে ওই ছেলেকে (আফফান) ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে মেরেছে। তারপর দ্বিতীয় গেটে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। আমি সকালে প্রক্টর স্যারকে ফোন দিয়ে জানিয়েছি বিষয়টা। আমরা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ জানাবো। এভাবে চলতে থাকলে ক্যাম্পাসে সহবস্থানের পরিবেশ তৈরি হবে না। তবে সামনে আমরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবো, কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চাইলে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। এখন তেমন কোনও তথ্য আমি শুনিনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’