স্বল্প সময়ে কালাজ্বর শনাক্তের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি ঢাবি গবেষকদের

স্বল্প সময়ে মুত্রের নমুনা থেকে ‘কালাজ্বর’ শনাক্ত করার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মনজুরুল করিম ও তার গবেষক দল। সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে নতুন এই উদ্ভাবন সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে গবেষণার বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন ড. মুহাম্মদ মনজুরুল করিম।

তিনি বলেন, নমুনা হিসাবে প্রস্রাব ব্যবহার করার দৃষ্টান্ত ভারতীয় উপমহাদেশে এটি প্রথম। গতানুগতিকভাবে অনুসরণ করা বোন ম্যারো, স্প্লিন এসপিরেট কিংবা লিভার বায়োপসির পরিবর্তে ‘মূত্র’ নমুনা হিসেবে ব্যবহার করে গবেষক দল এই মলিকিউলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। এর ফলাফল বিশ্বখ্যাত জার্নাল PLOS Global Public Health-এ প্রকাশিত হয়েছে। দেশ এবং দেশের বাইরে কালাজ্বর নির্মূলে এই গবেষণা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. মুহাম্মদ মনজুরুল করিম আরও বলেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ থেকে রোগ শনাক্তের ফলাফল পেতে সাত দিন সময় লেগে যায়। তবে এই নতুন পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্ভাবন। গবেষকদের যে কাজ তারা এটি সম্পন্ন করেছেন। ভবিষ্যতে এই জিনিস যেন প্রান্তিক পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে যায় সেটি দেখা প্রশাসনের দায়িত্ব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সেই কাজটি  করবে।