জাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের জয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের ১১টিতে জয়ী হয়েছেন আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা। এতে ২৮৩ ভোট পেয়ে সভাপতি হয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ। ৩৩০ ভোট পেয়ে সম্পাদক হয়েছেন আইআইটির অধ্যাপক এম শামীম কায়সার। তারা দুই জনই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' থেকে নির্বাচন করেন।

সহ-সভাপতি পদে ৩৩৪ ভোট পেয়ে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে ৩০৬ ভোট পেয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শকিফুল ইসলাম এবং যুগ্ম-সম্পাদক পদে ৩৩৭ ভোট পেয়ে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা তিন জনই বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ থেকে নির্বাচনে লড়েছেন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। পরে ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কশিনার বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি।

নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেলে অন্যান্য পদে জয়ীরা হলেন- নির্বাহী সদস্য পদে গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, ফাইনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সুবর্ণা কর্মকার, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান এবং প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারহা মতিন জুলিয়ানা।

এছাড়া বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল থেকে নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মো. রেজাউল রাকিব।

ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এজন্য এখন পর্যন্ত নির্বাচনে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গেই ভোট দিয়েছেন।

নির্বাচিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আজকের ভোট সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো। দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষকের হয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে না হওয়া গণতান্ত্রিক নির্বাচনগুলো আয়োজনের জন্য আমরা চেষ্টা করবো।

এবারের নির্বাচনে ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে ৫৭৪ জন ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে আওয়ামী ও জাতীয়তাবাদী দুটি প্যানেল থেকে মোট ৩০ জন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।