১০ দফা দাবিতে উপাচার্যকে জাবি ছাত্রলীগের স্মারকলিপি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়ন ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্যের কার্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো– প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর সঙ্গে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা, ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্পিড ব্রেকারের সংখ্যা বাড়ানো, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বটতলা হয়ে গেরুয়ার ঢাল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণ এবং নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল থেকে টারজান পয়েন্টের রাস্তা সম্প্রসারণ, শহীদ সালাম বরকত হল থেকে পরিবহন চত্বর পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার করা, অটোরিকশার সংখ্যা নির্ধারণ ও গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ করা, ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ল্যাম্পপোস্ট সংস্কার, ডেইরি গেট থেকে জয় বাংলা গেট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বাড়ানো, নতুন কলার সামনের স্থায়ী ব্যারিকেড অপসারণ করে পোর্টেবল ফোল্ডিং সিকিউরিটি গেটের ব্যবস্থা করা, সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় আনা, আল বেরুনী হলের সামনের রাস্তা সংস্কার করা।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে উল্লেখিত দারিগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানান।

হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তারা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করুক। নতুন কলার সামনের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুব্যবস্থার কথা চিন্তা করে প্রশাসনের এই রাস্তা খুলে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো অতিদ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানাই।’

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রেখে সব শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে আমরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ভবন সংলগ্ন রাস্তাটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। আমরা আশা রাখবো আগামি সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবিগুলোর যেন যথাযথ বাস্তবায়ন হয়। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করে যাবো।’

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবিগুলো পূরণের কাজ হাতে নেবেন বলে আশ্বাস দেন।