জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে কমিটি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ আনিত একাধিক অভিযোগের অধিকতর তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। আগের কমিটির প্রতিবেদনের পর অধিকতর তদন্তের জন্য নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রধান হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সাহা এবং সদস্য সচিব হিসেবে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) শাহনাজ হোসেন। এ ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক।

উল্লেখ্য, মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শিক্ষক বানানোর প্রলোভনে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব বিস্তার ও জোর করে গর্ভপাতের অভিযোগ ওঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালে উপাচার্য একটি প্রাথমিক কমিটি করেন। তবে সেই কমিটির কার্যক্রমকে পক্ষপাতমূলক ও সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করেছে।

সংবাদপত্রে এসব বিষয় প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১ মার্চ এক চিঠিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরপরই মূলত এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।