হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান

১০ দাবিতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) নবনির্মিত ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তিন ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিদ্যুৎ চলে গেলে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসহ ১০ দাবিতে রাত ১টা পর্যন্ত সেখানে স্লোগান দিতে থাকেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাত থেকে হলে বিদ্যুৎ নেই। সকালে কিছু সময়ের জন্য এলেও আবার চলে যায়। পরে বিদ্যুৎ আসে। কিন্তু শনিবার রাতে আবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় আমরা খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনাসহ নিত্য কাজকর্ম করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। 

১০ দফার বিষয়ে তারা বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে হবে, প্রতিটি ব্লকে হিটার দিতে হবে, প্রতিটি ফ্লোরে পানির সরাসরি লাইন দিতে হবে, বাথরুম ও করিডোরে পর্যাপ্ত লাইট ও থ্রি-প্লাগ সুইচ দিতে হবে, ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নত করতে হবে, হলে প্রবেশের সর্বশেষ সময় রাত সাড়ে ৮টা করতে হবে, হিটার চেকের নামে হেনস্তা করা যাবে না, অতিথি অনুমোদন ও অভিভাবকদের যথেষ্ট সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে, লিফট ও রিডিংরুম দিতে হবে, বিশেষ কারণে রাতে হলে ফিরতে দেরি হলে অকথ্য ও অপমানসূচক ভাষায় কথা বলা যাবে না। এ ছাড়াও নবনির্মিত ছাত্রী হলের একটি স্থায়ী নাম দেওয়ার দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে হলটির সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে বসবো। এরপর আমরা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আসবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি থেকে যৌক্তিক দাবিগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করবো।

অভিযোগ রয়েছে, হল নির্মাণের সময় নিম্নমানের তার ব্যবহার করায় বিদ্যুতের লাইনের ওপর চাপ পড়লে তা লোড নিতে পারে না। ফলে হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর কাজ ঠিকভাবে বুঝে না নিয়ে দ্রুত হলে ছাত্রী ওঠানোয় কিছু বিষয়ে অসঙ্গতি থেকে গেছে।

উল্লেখ্য, দাবি আদায়ে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে হলে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল এবং দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পেলে তারা ফিরে যান।