আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ইউডা’র পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

nonameসকাল ৯টা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ঢুকতেই দেখা মিললো হাজারো শিক্ষার্থীর। সবার পরনে কালো গাউন আর মাথায় টুপি। সমাবর্তন উপলক্ষে সকাল থেকে ইউডা’র বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে জমে উঠতে থাকে বিআইসিসির প্রাঙ্গণ। শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে আনন্দের অভিব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার এমন উৎসবমূখর পরিবেশে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) এর পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হলো। এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৩৬০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ভালো ফল লাভ করায় সমাবর্তনে ‘চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড স্বর্ণপদক’ পান ৮ জন এবং ‘অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট ক্রেস্ট’ পান ১৭ জন শিক্ষার্থী।
সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা নিয়ে র‌্যালির মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠিানিক কার্যক্রম। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুজিব খান ও ভাইস চ্যান্সেলর এমাজউদ্দীন আহমদ বক্তব্য দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, শিক্ষক, ছাত্র পরিষদের অধিনায়ক ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাজীবন এখানে শেষ হলেও আপনাদের কর্মজীবন এখান থেকেই শুরু। আপনাদের অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞান এখন বাস্তব কর্মজীবনে প্রয়োগ করতে হবে।’

noname

সমাবর্তন বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষা প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি এবং উন্নয়নের চাবিকাঠি। প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের গুণগত মান ও গতি নির্ভর করবে শিক্ষার গুণগতমান এবং তার সংখ্যাগত বিস্তৃতির ওপর।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত উচ্চ শিক্ষার যে অবদান সাধিত হয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও গতি সঞ্চার করতে সরকার কর্তৃক উচ্চ শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’

সমাবর্তন শেষে ভাষা শহীদের আত্মত্যাগ স্মরণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

/এএ / এএইচ/