প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানের হতে হলে মানসম্মত গবেষণা-প্রকাশনা থাকতে হয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, কোনও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বমানের হতে হলে মানসম্মত গবেষণা ও প্রকাশনা থাকতে হয়। গবেষণা, প্রকাশনা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টার্টআপ গড়ে ওঠে। এতে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক জোরদার হয়। এ লক্ষ্যেই ঢাবিতে গবেষণা-প্রকাশনা মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটগুলোর উদ্যোগে দিনব্যাপী 'গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা' বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মেলা আয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য বলেন, সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ও উদ্ভাবনমূলক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গবেষকদের নামমাত্র গবেষণা না করে দেশ ও জাতির টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নে কার্যকর অবদান রাখতে গবেষণায় মনোযোগী হতে হবে।

তিনি বলেন, যেই রিচার্সকে প্রোডাক্টে রূপান্তর করা যায়, সেটিকেই উদ্ভাবন বলা হয়। যার দ্বারা সাংস্কৃতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামাজিক চাহিদা নিরূপণ, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের ক্ষেত্রে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. তামান্না হাওলাদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক। অধ্যাপক মোহাম্মদ এ মোমেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য ড. মাকসুদ কামাল, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।