‘কমলাপুরের ৬০ শতাংশ পথশিশু মাদকাসক্ত’

পথ শিশুকমলাপুর এলাকার ৬০ শতাংশ শিশু মাদক নেয় বলে জানিয়েছেন পথ শিশুদের পুনর্বাসনকেন্দ্র কার্যক্রমের পরিচালক ড. আবুল হোসেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুরে পথ শিশুদের পুনর্বাসনকেন্দ্র উদ্বোধনের সময় তিনি একটি প্রেজেন্টেশনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
ড. আবুল হোসেন জানান, কমলাপুর এলাকার পথশিশুদের ৫৩ শতাংশের বয়স ৬ থেকে ১০ বছর। যাদের ৮৩ শতাংশই নিজেদের খাবার নিজেরাই সংগ্রহ করে। এসব শিশুদের ৬০ শতাংশ মাদকাসক্ত।
আরও পড়ুন: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন: আরও সময় চায় মোবাইলফোন অপারেটরগুলো, সিদ্ধান্ত শনিবার

তিনি আরও বলেন,  এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পথশিশুদের পুনর্বাসন, মটিভেশন, কাউন্সিল ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
উদ্বোধনের পর এক মতবিনিময় সভায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, পথ শিশু বলে কিছু নেই। পথে কোনও শিশু জন্মানোর কারণে সে পথ শিশু হয় না। সমাজ তাদেরকে পথ শিশু বানায়। দারিদ্র্যতা, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, বাবা-মা মারা যাওয়া বা বাবা-মায়ের অসচেতনতা অথবা অর্থলোভী কিছু মাদক ব্যবসায়ীর কারণে এখন কিছু শিশু পথে দিন কাটায়।

আরও পড়ুন: শুধু বেতন নয়, ভাতার ওপরও কর দিতে হবে

সভায় তিনি শিশুদেরকে দিয়ে কোনও রকমের অসামাজিক কাজ করানোর বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিশুর ঠিকানা পথে নয়, সরকার সব পথ শিশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে।

প্রতিমন্ত্রী পথ শিশুদের পরিচয় ও তাদের পিতামাতাকে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

সভার সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, দারিদ্র্যতা শিশুদেরকে পথে নিয়ে আসে। সরকার দারিদ্র্যতা দূর করার জন্য সমন্বিত দারিদ্র্য দূরীকরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় নিজস্ব উদ্যোগ, তবুও শঙ্কা

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নূরুল কবির, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমির হোসেন, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি এস এম রুহুল আমিন প্রমূখ।

উল্লেখ্য, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পথ-শিশুদের পুনর্বাসন করার জন্য পথশিশু পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রাথমিকভাকে ঢাকা শহরের দু’টি জায়গা কাওরান বাজার ও কমলাপুরে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। 

/ইউআই/এএ/