নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে গত ২১ এপ্রিল হারুন অর রশীদকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে গাজীপুরের এসপির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অনিয়মের অভিযোগে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল হক ও শ্রীপুরের ওসি মো. আসাদুল হককেও প্রত্যাহার করা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের (ইউপি) তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল গাজীপুরের ২০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই ভোটে স্থানীয় প্রার্থীদের অভিযোগের কারণে ভোটের দুইদিন আগে ২১ এপ্রিল এসপিসহ ওই তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেন, ২০টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণকে সামনে রেখে ১৯ এপ্রিল এসপি হারুন বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে কোন ইউনিয়নে কে বিজয়ী হবেন সেটা তিনি আগাম বলে দেন। এ নিয়ে অন্য প্রার্থীদের কোনও ধরনের প্রতিবাদ না করতে শাসিয়ে দেন তিনি।
কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, হারুন অর রশীদ কমিশনার ও কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তাদের কাছে তিনি গাজীপুরের এসপি হিসেবে পুনর্বহাল হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এ জন্য তিনি তার বিরুদ্ধে নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, এসপি হারুনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পুলিশের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একাধিক কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন:
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কমিশনার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘পুলিশের ডিআইজি পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তা তাকে ফোন করে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন। তবে, এই মুহূর্তে তাদের কিছুই করার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছি।’ এই কমিশনারের সঙ্গে এসপি হারুনও সাক্ষাত করেছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি।
জানতে চাইলে কমিশন সচিবালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিব্রিউনকে বলেন, ‘গাজীপুরের সাবেক এসপি কমিশনে কার কাছে তদবির করেছেন সেটা আমার জানা নেই। তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন তাকে কোথায় পদায়ন করা হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার।’
তবে, এ বিষয়ে এসপি হারুন অর রশীদের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কথা বলার জন্য তার মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন:
ইএইচএস/ এপিএইচ/