মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর জার্মানির বার্লিনে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ‘ডয়চে ভেলে’র সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলামের সঙ্গে ফেসবুকে এক লাইভ ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় হাসপাতালে থাকতে পুলিশ সন্দেভাজন যে পাঁচজনের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আমাকে দেখিয়েছিল, তাদের কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কেউই হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়।’
এই লাইভ ভিডিও সাক্ষাৎকারে বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে অভিজিৎ রায়ের মামলার অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে বন্যা বলেন, ‘মাঝে মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বলে, এফবিআই নাকি সহযোগিতা করে না। কিন্তু এফবিআইয়ের সঙ্গে আমার বারবার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, আমাদের যা করার করেছি, এখন বাদবাকি কাজ বাংলাদেশ পুলিশের। বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ ডিএনএ স্যাম্পল কেন মেলাতে পারে না, এটাতো একটা সাধারণ কাজ!’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৮-৯ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তারা কেউই অভিজিৎ হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। আমি আহত হওয়ার পর বাংলাদেশের হাসপাতালে যে কয়দিন ছিলাম, তখন তদন্তকারীরা আমাকে ৪-৫ জনের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছেন। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় অনুসরণ করতো। কিন্তু তাদের কাউকেই পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে: ইউএসসিআইআরএফ
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্তকারীসহ বাংলাদেশের কেউই এখন আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করেন না। মনে হচ্ছে আমার অস্তিত্বই নেই। তবে আমি কোথাও গেলে সরকারের লোকজন আমাকে অনুসরণ করে। যেমন ইউএস কংগ্রেসের একটি শুনানিতে আমি গেলে সেখানে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা হাজির হন।’
বন্যা আহমেদ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড এবং দেশের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কে মরল কে বাঁচল তাতে সরকারের এখন কিছু আসে যায় না। সরকার চিন্তা করে রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট। কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না, এই যে তারা হেফাজতসহ মৌলবাদীদের লাই দিচ্ছে, তারা যখন আরও ক্ষমতাধর হবে তখন পরিস্থিতি কত ভয়াবহ হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির উল্টো দিকে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বত্তরা। হামলায় গুরুতর আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও।
রাফিদা আহমেদ বন্যার বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দেখুন-;
আরও পড়ুন: টিআইবির ট্রাস্টি ও শীর্ষ কর্মকর্তারা যেভাবে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন
এইচইউআর/এজে