অবৈধভাবে আসছে ভারতের ‘বিষাক্ত সুন্দরী’

ভারতীয় আমবেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে ভারতের ‘বিষাক্ত’ রাসায়নিক মেশানো সুন্দরী আম। বেনাপোলসহ আশপাশের বাজারগুলোতে মিলছে হলুদ আভা এবং বোঁটার দিকে টকটকে লাল রংয়ের এ আম, যা দেখলে যে কারও মুখে জল আসবে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিক্রেতারা থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন আমগুলো। দিনের পর দিন দোকানে সাজানো থাকা আমগুলোর গা কুঁচকে গেলেও বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাবে তা নষ্ট হচ্ছে না।
বেনাপোল বাজারের ফল ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন, ভারতের মাদ্রাজ থেকে এ আম বাংলাদেশে আনা হয়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত রাসায়নিক স্প্রে করে ফলের রং উজ্জ্বল ও পাকানোর ব্যবস্থা করে। এরপর ফরমালিন দিয়ে আমগুলো সজীব রাখে।
শার্শার এক ফল ব্যবসায়ী হজরত আলী বলেন, আমের মৌসুম শুরুর আগেই যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ‘চোরাই পথে’ বাংলাদেশে এ আম আনা হয়। বাজারে আগাম আম দেখে অনেকেই একটু বেশি দামে এ আম কিনতে চায়। প্রতি কেজি আম বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়।
ফাহমিদা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এখনও দেশি আম আসেনি, তাই বেশি দাম দিয়েই ভারতীয় আম কিনেছি। তবে এতে রাসায়নিক বিষ দেওয়া কী না সেটা বুঝতে পারছি না।

বেনাপোল পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) রাসিদা খাতুন বলেন, ভারত থেকে আসা আমসহ বিভিন্ন ফলের ক্যামিক্যাল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাজারগুলোতে অভিযান চালাতে পারছেন না। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন,উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ধাকায় স্থানীয়ভাবে ফলে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না।

বেনাপোল বাজারের ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলজার বলেন, বৈধভাবে আমদানি করলে লাভ না হওয়ায় অবৈধপথেই এ আম বাংলাদেশে আসছে।

আরও পড়ুন: ইসির অনুমতি ছাড়াই এসপি হারুন গাজীপুরে পুনর্বহাল

/এসএনএইচ/এজে/