ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে লঞ্চের যাত্রা বাতিল

লঞ্চঈদের সময় কোনও লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিলে এবং জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, নৌ দুর্ঘটনা রোধে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ঢাকা নদী বন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদী বন্দরগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়ে থাকে। 

মন্ত্রী জানান, নদীকেন্দ্রিক ৪৭টি জেলার জেলাপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট লঞ্চঘাট এলাকায় অবৈধ যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। 

তিনি জানান, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধায় সদরঘাট টার্মিনালে টিকেট কাউন্টার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরে টিকেট কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। 

শাজাহান খান বলেন, ঢাকা সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা আছে মন্ত্রণালয়ের। যাত্রীসবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সব নদীবন্দরের আধুনিকায়ন করা হবে। 

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য একে এম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) এবং এফডিআই (ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। 

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় জমি ও অবকাঠামো নির্মাণ করে দেওয়া হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের নিজস্ব অর্থ এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে। সরকারকে সরাসরি কোনও অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে না।

মন্ত্রী জানান, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে এর মাধ্যমে দেশের সম্ভাব্য আয়ের পরিমাণ নিরুপণ করা না গেলেও বন্দর সুবিধা ব্যবহার করে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে এবং শিল্পায়নের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন- 

রক্তের সেতুবন্ধনে যত বাধা ছিল
মীর কাসেমের রিভিউ শুনানি ২৫ জুলাই

/পিএইচসি/এফএস/