তারেকের ৭ বছর জেল, ২০ কোটি টাকা জরিমানা

১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারেককে হাজিরের সমনমুদ্রা পাচার মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালত তাকে খালাসের রায় দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তারেকের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামুনের আপিল খারিজ এবং দুদকের আপিল মঞ্জুর করে এই রায় দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ দেন। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয় রায়ে। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দাখিল করে দুদক।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেককে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। মামুন ওই টাকা সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে তার হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।

আরও পড়ুন-

টঙ্গীতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে র‌্যাবের অভিযান, জেএমবি'র দক্ষিণাঞ্চল প্রধানসহ ৪ জঙ্গি আটক

জঙ্গি হামলার ঝুঁকিমুক্ত নয় মসজিদ-মাদ্রাসা-দরগা

নিখোঁজ তরুণদের নিয়ে চুপ থাকার পরামর্শ জঙ্গি পাতায়!

/ইউআই/এফএস/