নিহত আরও এক জঙ্গির পরিচয় মিলেছে


জঙ্গি-রায়হান-কবিররাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী পুলিশের ‘অপারেশন স্টর্ম ২৬’অভিযানে নিহত নয় জঙ্গির মধ্যে আরেক জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
তার নাম রায়হান কবির। বাবার নাম শাজাহান কবির। বাড়ি রংপুরের পীরগাছায়।
এই নিয়ে নিহত আটজনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেল।
এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে সাত জঙ্গির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।তারা হলেন- জোবায়ের হোসেন, সাজাদ রউফ অর্ক ওরফে মরক্কো, আব্দুল্লাহ, আবু হাকিম নাঈম, তাজ উল হক রাশিক, আকিফুজ্জামান খান ও মতিয়ার রহমান।
এদের মধ্যে সাজাদ রউফ অর্ক ওরফে মরক্কো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। র‌্যাবের সর্বশেষ সংশোধনী তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে অর্কের নাম ছিল। অর্ক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গি নিবরাসের বন্ধু। এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
এছাড়া অপর নিহত তাজ উল হক রাশিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়ে পড়শোনারত ছিল বলেও জানায় ডিএমপি। জানা যায় রাশিকের বড় ভাই রাজীব একজন স্থপতি। বাবা রবিউল হক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ছিলেন।

এদিকে আঙুলের ছাপ মেলাতে না পারা দুই নিহতের মধ্যে একজনকে সাব্বিরুল হক কনিক বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে স্বজনরা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুণছড়া ইউনিয়নের বাড়ি থেকে সাব্বিরুলের স্বজন দাবিকারীরা পুলিশকে জানান, সাব্বিরুল হক কনিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের (আইআইইউ,সি) ইকোনমি অ্যান্ড ব্যাঙ্কিং বিভাগের ছাত্র ছিল। তার বাবার নাম আজিজুল হক চৌধুরী।

‘সাব্বিরুল হক কনিক’সহ বাকি দু’জনের বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডারে তাদের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ডিএমপির জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, নিহত জঙ্গিদের আঙ্গুলের ছাপ ও তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে তারা সাতজনের পরিচয় সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: নিহত ৯ জঙ্গির ৭ জনের পরিচয় মিলেছে

মাসুদুর রহমান জানান, নিহত জঙ্গিদের যেসব স্বজন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তাদের তারা বলেছেন, মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করতে। এরপর নিহত জঙ্গিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে প্রত্যেকের পরিচয় পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে জোবায়ের, রাশিক ও অর্ক গত ছয় থেকে সাত মাস যাবত নিখোঁজ ছিল বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। রমজানের প্রথম দিকে জুবায়ের বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলে চলে যায় বলে তার বাবা আবদুল কাইয়ুম সাংবাদিকদের জানান। গত ১২ জুলাই তিনি নোয়াখালীর সুধারাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।

/এবি/এইচকে/