বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী, দলীয় নেতাকর্মীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রীকে তিনি এ নির্দেশ দেন। এসময় দেশের বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ-খবরও নেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে দেশের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং কামরুল ইসলাম দেশের বন্যা পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘কোনও মানুষ যেন খাদ্য ও থাকার কষ্ট না পায়।’

তিনি আরও বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। ওইসব এলাকায় বাড়িঘর ডুবে গেছে। তাই ওইসব এলাকায় যেন খাদ্য ও খাবার স্যালাইনের সংকট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখারও নির্দেশ দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বন্যা দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সব মন্ত্রীকে উদ্দেশে তিনি বলেন, যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে সেখান থেকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান।

তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণে যেন কোনও ধরনের অনিয়ম না হয়। কোনও অনিয়মের খবর পাওয়া গেলে বরদাসত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন মন্ত্রীদের।

বন্য কবলিত এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টিম গঠন করে ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের কাছে প্রধানমন্ত্রী দেশের খাদ্য গুদামের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৭ লাখ টন খাদ্যশস্য কেনা হয়েছে। আরও চার লাখ টন খাদ্য ক্রয় প্রক্রিয়াধীন আছে। কাজেই খাদ্য নিয়ে কোনও দুঃশ্চিন্তা নেই। খাদ্য যথেষ্ট আছে, কোনও অভাব নেই।

/এসআই/এসএনএইচ/এসটি/