সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গি একজন নাঈম। তার বাড়ি টাঙ্গাইলে। ২০০৯ সালে সে লিবিয়াতে ছিল। তার আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপর আটজঙ্গি কোনও দেশে গিয়েছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাদের বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
২৫ জুলাই রাতে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ৫৩ নম্বর ‘তাজ মঞ্জিলে’ অভিযান চালিয়ে একটি জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। জঙ্গিরা পুলিশকে প্রতিরোধ করলে ২৬ জুলাই ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াতের নেতৃত্বে এক ঘণ্টার অভিযান চালানো হয়। এতে আস্তানায় ৯ জঙ্গি নিহত হয়। এছাড়া, পালিয়ে যাওয়ার সময় রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান নামে একজনকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য একজন পালিয়ে যায়।
নিহত ৯ জঙ্গির মধ্যে ৮ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তারা হলো দিনাজপুরের আব্দুল্লাহ ওরফে মোতালেব, টাঙ্গাইলের আবু হাকিম ওরফে নাঈম, ঢাকা ধানমণ্ডির তাজ-উল-রাশিক, গুলশানের আকিফুজ্জামান, সাতক্ষীরা মতিয়ার রহমান, নোয়াখালীর জোবায়ের হোসেন, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাজাদ রউফ ওরফে অর্ক ও রংপুরের রায়হান কবির ওরফে তারেক। নিহত অপর একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নাঈমের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল গ্রামে। ২০১১ সালে সে লিবিয়া থেকে দেশে ফেরত এসে টাঙ্গাইলে একটি মাদ্রাসা চালু করে। কিন্তু সেখানে তার সন্দেহভাজন শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে স্থানীয়রা তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। এরপর ২০১৩ সালে সে বাড়ি থেকে চলে যায়। পটুয়াখালীর কলাপাড়াতে সে আত্মগোপনে থেকেই জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নাঈম লিবিয়াতে কোনও জঙ্গি সংগঠনের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পটুয়াখালীতে কি কাজ করত, কাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, সেখানে বসে কোথায় কোথায় বৈঠক করত, এসব বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: হাসনাত করিম-তাহমিদ নাগালের মধ্যেই আছেন, প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: মনিরুল
/এআরআর/এসটি/