অবস্থার উন্নতি হয়নি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী মুহিতুলের

শারীরিক অবস্থার একটুও উন্নতি হয়নি ২১ দিন ধরে আইসিইউতে থাকা এ এফ এম মুহিতুল ইসলামের। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী এবং এক নম্বর সাক্ষী মুহিতুল ইসলামের ভাইয়ের ছেলে হাবিবুল ইসলাম পিটুল সোমবার একথা জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে তাকে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে (লাইফ সাপোর্ট) বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। তার জন্য গঠিত হয়েছে ৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড।

১০ আগস্ট আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। এসময় তারা জানান, মুহিতুল ইসলামের চিকিৎসার সব ব্যয় সরকার বহন করবে।

পিটুল বলেন, ‘চাচার অবস্থা খুব খারাপ। একদিন পরপর তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। রক্ত দিতে হয় একদিন পরপর। চিকিৎসকরা বলছেন, তার মস্তিষ্ক শুকিয়ে যাচ্ছে, ফুসফুস অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব সাধারণ পরিবার। কিন্তু চাচা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী হওয়ায় নানা সময়ে হুমকি পেয়েছি। দেশের এই অবস্থায় গ্রামে থাকা আমাদের পরিবার নিয়েও অসহায়বোধ করছি। এছাড়া আতঙ্কেও ভুগছে।’

মুহিতুল ইসলামের নিরাপত্তারক্ষী শামসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। দুটো কিডনিই ড্যামেজড। কিডনি হাসপাতালে তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস হতো। ১২ জুলাই আবার অসুস্থ হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তিনি আইসিইউতে ছিলেন। অবস্থার একটু উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। আবার অবনতি হলে ২৭ জুলাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়।'

অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক দেবব্রত বণিক জানান, মুহিতুল ইসলাম বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনির কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে কারণে তাকে একদিন পরপর ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তার ফুসফুসের সংক্রামণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যা কোনও ওষুধেই কাজ করছে না। এছাড়া তার মস্তিষ্কও কাজ করছে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বাদী হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করেন মুহিতুল ইসলাম।

/জেএ/এসটি/