উন্নয়নের পথে বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এএইচ মাহমুদ আলীদুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে টেকসই উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়ন বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য সহজ কাজ নয়।’ বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের উদ্যোগে গত বছর ১৫ বছর মেয়াদি সব দেশের জন্য বাধ্যতামূলক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য গৃহীত হয়। এটি হচ্ছে উন্নয়নের রোডম্যাপ, যা ২০৩০ সাল পর্যন্ত সবদেশকে মেনে চলতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা। সব মানুষের মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেওয়া।’’

এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘কোন লক্ষ্যকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং এর অর্থায়ন কিভাবে হবে, সেটি দক্ষতার সঙ্গে ঠিক করতে হবে।’

সমাপনী সেশনে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, ‘‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’-এর সঙ্গে সন্ত্রাস ও উগ্র মতবাদকে যুক্ত করা হয়নি। সিরিয়া বা সোমালিয়ায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়ে কেউ কোনও কথা বলে না। কারণ এটি বাস্তবায়নের জন্য স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি ।’’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ২২টি দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব নয় অস্থিতিশীলতার জন্য। সবাই এখন সেসব দেশে কিভাবে কী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছে।’

পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজি খলিকুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি বাস্তবায়নে বাংরাদেশের সক্ষমতা আছে। এর জন্য সঠিকভাবে এটিকে ব্যবহার করতে হবে।’

জেনারেল ইকোনোমিক ডিভিশনের সদস্য সামসুল আলম বলেন, ‘অর্থায়নের সমস্যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। প্রতি বছর বাংলাদেশের পাঁচ বিলিয়নের ডলারের বৈদেশিক সাহায্য প্রয়োজন। কিন্তু গত বছর সাহায্য এসেছে মাত্র ১.৭ বিলিয়ন ডলার।’

সাবেক সচিব মোকাম্মেল হক জনসংখ্যাকে বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা বলে উল্লেখ করেন।

/এসএসজেড/এমএনএইচ/