রিশা হত্যার দায় স্বীকার ওবায়দুলের

রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ওবায়দুল হক। সোমবার আদালতে দেওয়া এক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রিশাকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।

ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবীব আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, জবানবন্দিতে রিশাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ওবায়দুল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলী হোসেন এ জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। এরই মধ্যে ৪ দিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহনের আবেদন করেন। গত ২৪ আগস্ট বুধবার রিশা স্কুল থেকে পরীক্ষা শেষে বের হয়ে পাশের ওভার ব্রিজের ওপরে উঠলে সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করে ওবায়দুল। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়। এর আগে তাকে ওবায়দুল ছুরিকাঘাত করে এ কথা পরিবার সদস্য ও পুলিশের কাছে জানায় সে। এ ঘটনায় পরদিন রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন রিশার মা। ওই দিন থেকেই তার হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবিতে কাকরাইল ও শান্তিনগর এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তার সহপাঠী উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।শিক্ষামন্ত্রী নুরুল হক ২৯ আগস্ট স্কুল ক্যাম্পাসে এসে নিজেও রিশার হত্যাকারীর বিচার দাবি করেন। এরপর রমনা থানার সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রিশার হত্যাকারীকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা। ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডোমার থেকে রিশার হত্যাকারী ওবায়দুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

/এসআইটি/এসএনএইচ/টিএন/