বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সদস্যরা জানতে চান, তাদেরকে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদে ফেরাতে মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নিয়েছে। জবাবে শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন জানান, এ ব্যাপারে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে আসায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তারা ইতোমধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ‘আপিল’ করেছে। আগামী ৩০ অক্টোবর শুনানি হওয়ার কথা।
গত ১ জুন হাইকোর্ট রায় দেন, সংসদ সদস্যরা স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদে থাকতে পারবেন না। হাইকোর্টের রায়ের পর সরকার আপিল করলে ১২ জুন আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। এরপর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
কমিটির সভাপতি আফছারুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্ট একটা রায় দিয়েছেন। পরে তার বিরুদ্ধে আপিলও খারিজ হয়েছে। এখন পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর আবার সরকার আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় তাদের জানিয়েছে, তারা আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে। এটা আপিল না রিভিউ, তা মন্ত্রণালয় বা আইনের লোকজন বলতে পারবেন।’
কমিটির সদস্য হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতির পদ ফিরে পাওয়ার দাবি সব এমপির। যে কারণে কমিটি মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছিল। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।'
আফছারুল আমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আবদুল কুদ্দুস, হাছান মাহমুদ, গোলাম মোস্তফা, এসএম আবুল কালাম আজাদ, মামুনুর রশিদ ও সেলিনা আক্তার বানু অংশ নেন।
/ইএইচএস/এআরএল/
আরও পড়ুন: