ফেসবুকে ‘সবাইকে ধন্যবাদ’ জানিয়ে ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষিকার আত্মহত্যা!

ফেসবুকে দেওয়া পিংকীর সর্বশেষ স্ট্যাটাস

‘সবাইকে ধন্যবাদ’ জানিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাবেয়া কুলসুম পিংকী (২৭)। রাজধানীর বাড্ডায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার আগে নিজের ফেসবুকে ‘সবাইকে ধন্যবাদ’ লেখা সর্বশেষ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

জানাগেছে, পিংকী ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের লেকচারার ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায়। পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে। ঢাকায় তিনি এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন আফতাবনগরে। তবে গত এক মাস আগে ওই সহকর্মী গ্রামের বাড়িতে চলে গেলে পিংকী বাসায় একাই ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাত ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘সবাইকে ধন্যবাদ’ জানিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেন তিনি। এরপর থেকেই ফোনে সংযোগ না পেয়ে এক বান্ধবী পিংকীর ছোট ভাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শরীফকে জানান। শরীফ রাতেই ওই বাসায় গিয়ে কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি ফ্যানের সঙ্গে বোনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে পিংকীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, ‘পিংকী আগেই মারা গেছেন।’

পিংকী

খবর পেয়ে বাড্ডা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আ.ফ.ম. শফিউজ্জামান বলেন, ‘গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে তার দুই হাতেই ব্লেড দিয়ে কাটার স্পষ্ট দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফাঁস দেওয়ার আগে হাত কাটার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।’

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, ‘ রাবেয়া কুলসুম ওরফে পিংকীর মৃত্যুতে বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা জানা যায়নি। এব্যাপারে নিহতের পরিবার থেকেও কিছু বলা হয়নি। অন্যকিছু আছে কিনা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে।’

এ ব্যাপারে পিংকীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরজে/এপিএইচ/