আট বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় ‘উত্তরা গণভবন’

797px-Uttara_Gonovaban_Natoreপ্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে শেরে-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত গণভবনের পাশাপাশি ‘উত্তরা গণভবন’ও রয়েছে। নাটোর জেলার দিঘাপতিয়া রাজবাড়িটিই হচ্ছে সেই বাড়ি, যেটি উত্তরা গণভবন হিসেবে পরিচিত এবং প্রধানমন্ত্রীগণ তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে অন্তত একবার সেখানে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। আগের মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের এই আট বছরের মেয়াদে (২০০৯-১৬) সেখানে কোনও বৈঠক হয়নি। দায়িত্বশীলরা বলছেন, বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে তারা এখনও কোনও নির্দেশনা পাননি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মুহাম্মদ শফিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উত্তরা গণভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক আয়োজন হওয়ার কোনও তথ্য আমার জানা নেই।’

natorrrr১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নাটোরের ওই রাজবাড়ির নাম রাখেন ‘উত্তরা গণভবন’। তাঁর মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক হয় সেখানে। পরবর্তীতে অন্যান্য সরকারের আমলেও সেখানে অন্তত একবার বৈঠক হয়েছে। ক্ষমাতাসীন দলগুলোর কাছে এটি রেওয়াজ হয়ে দাঁড়ায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবু্র রহমান জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে ১৯৮০ সালের ১৭ নভেম্বর উত্তরা গণভবনে একবার মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন।

natorসাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভাও উত্তরা গণভবনে  বৈঠক করে বলে জানান তার ভাই জিএম কাদের। আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, প্রধানমন্ত্রী  খালেদা জিয়া তার প্রথম মেয়াদে ও দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রীসভাও একটি বৈঠক করে। কিন্তু তার পর ক্ষমতায় এসে গত আট বছরে (২০০৯-১৬) আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভার কোনও বৈঠক হয়নি। আগামীতে হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘আগে তো হয়েছে। এখন অ্যাডভান্স বলতে পারবো না।’

বৈঠক না হলেও রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে চলছে বলে জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। তিনি বলেন, ‘বৈঠক হবে কিনা, তা জানি না, তবে আমরা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছি।’

আরও পড়ুন: 

সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

/এসটিএস/এআরএল/