ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম চার ঘণ্টায় গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতংশ ভোট পড়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। বুধবার (৮ মে) দুপুর পর্যন্ত প্রত্যাশিত ভোটার উপস্থিতি নেই, তবে দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বেলা ১টার দিকে নির্বাচন ভবনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব।
ভোটের পরিস্থিতিতে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, শুধু খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ির উপজেলার একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন দুয়েকটি ঘটনা ঘটলেও কোনও বড় ধরনের গোলোযোগ বা সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে, আপনাদের দোয়ায় ও জনগণের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বলতে পারি ভোট নির্বিঘ্নে চলমান রয়েছে।
ইসি সচিব জানান, সকাল ১০টায় ও বেলা ১২টায় মাঠ পর্যায়ের তথ্য নেওয়া হয়েছে। একেক জেলায় একেক রকম ভোটের হার।…প্রিসাইডিং অফিসার এ সময়ে যে তথ্য অ্যাপে আপলোড দিয়েছেন তার ভিত্তিতে প্রাথমিক হারটা জানানো হলো। সঠিক হার হার পরে জানানো সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, গড়ে কত শতাংশ ভোট পড়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না হলেও আমরা প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছি, গড়ে অঞ্চলভিত্তিক ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বেলা ১২টা পর্যন্ত (চার ঘণ্টায়)।
ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হওয়ার বিষয়ে সচিব জানান, সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, চরাঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। রাতে কিছু জায়গায় ঝড়ো হাওয়া ও সকালে বৃষ্টি হওয়ায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমরা যেরকম প্রত্যাশা করেছি, তার চেয়ে হয়তো ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেল; বেলা চারটা পর্যন্ত ভোট চলবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমরা দেখেছি দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি বাড়ে, ভোটের হার বেড়ে যায়। কারণ যারা মাঠে কাজ করে তারা বিকালে ভোট দিতে আসে। ভোট শেষে একটা চিত্র দিতে পারবো ভোটের হার কেমন।
ব্যালটের পাশাপাশি ইভিএমে কোনও ধরনের ত্রুটি ছাড়াই ভোট হয়েছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, আমাদের কর্মীরা রাতের ২টা পর্যন্ত কাজ করেছে। ইভিএম নিয়ে কোথাও ঝামেলা হয়নি। যথাসময়ে ভোট শুরু হয়েছে।
সচিব জানান, বড় ধরনের গোলোযোগের ঘটনা ঘটেনি। দুয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা যেখানে ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে, কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ির উপজেলার একটি কেন্দ্রের বাইরে গোলোযোগের কারণে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়। এর বাইরে কোথাও ভোট বন্ধ করা হয়নি। বগুড়া জেলার একটি ভোটকেন্দ্রে অবৈধভাবে ভোট দেওয়ার সহয়তা করায় একজন প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, আরও দুয়েকটি জায়গায় কেন্দ্রের বাইরে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, তবে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও’র গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মাদারীপুরেও কেন্দ্রের বাইরে ঝামেলা হলেও ভোট নিতে বাধা হয়নি।