ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীর বিচ্ছিন্ন হাত জোড়া দিলেন চিকিৎসকরা

বাবুল হালদার

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী বাবুল হালদারের (২৪) বিচ্ছিন্ন হাতটি  দশ ঘণ্টার অপারেশনে সফলভাবে জোড়া লাগাতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় অপারেশন শেষ হয়।

শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সামনের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শুভযাত্রা পরিবহনের একটি গাড়ি ফুটপাতের ওপর উঠে গেলে বাবুলের ডান হাতটি গাড়ির চাকার নিচে পড়ে। এতে ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচ্ছিন্ন হাতসহ আহত বাবুল হালদারকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করলে দুপুরে অপারেশনের জন্য নেওয়া হয়।

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সমন্বয় ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তার হাত ঠিক হয়ে যাবে।’

শরীর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়  বাবুল আর ভালো হবে না বলে ভেবেছিলেন তার মেঝো ভাই উত্তম হালদার। তিনি অপারেশনের পর জানান, ‘ঈশ্বরের অনেক কৃপা, আমার ভাইয়ের হাত জোড়া লেগেছে। দুপুর থেকে টানা অপারেশন হয়েছে তার। আমরা ভেবেছিলাম, আমার ভাইয়ের হাত পঙ্গু হয়ে যাবে। এখন ডাক্তাররা বলছেন, সফলভাবে তা হাত জোড়া লাগানো সম্ভব হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে ভাল হয়ে যাবে।’

জানা যায়, বাবুল হালদার ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের বাসুদেবপুরে। বাসের চাপায় সহপাঠী আহত হওয়ায় ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় নেমে আসেন। পরবর্তীতে নিউমার্কেট থানা পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনে।

ঘাতক বাসটিকে আটক করে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বংশাল থানার ডিউটি অফিসার এসআই এমদাদুল হক। তিনি বলেন, ‘ফুটপাতের ওপর  উঠিয়ে দেওয়ার পর শুভযাত্রা পরিবহনের বাসটির চালক ও হেলপার পালিয়েছেন। আমরা বাসটি উদ্ধার করে ডাম্পিংয়ে পাঠিয়েছি।’

আরজে/এপিএইচ