‘চলতি মাসেই মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহীদদের সম্মাননা দেওয়া শুরু হবে’

চলতি মাসে ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয়দের সম্মাননা প্রদানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভাবাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের কূটনীতিক স্বীকৃতির ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে সভাটির আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল দেশ থেকে দারিদ্রতা দূর করা। এছাড়া নারী শিক্ষার উন্নয়ন, নারী অধিকার নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ, অর্থনীতি অগ্রগতির উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ দমনসহ নানা ইতিবাচক চিন্তা রয়েছে সরকারের।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আর এসব ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ভারত সরকার আমাদের নানারকম সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আমরা সবসময় তা স্বীকার করে আসছি। আশা করছি চলতি মাসে ভারত সফরকালেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যুদ্ধে শহীদ সব ভারতীয়দের সম্মাননা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন।’

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই যুদ্ধে শুধু বাংলা নয় সমগ্র ভারত এক হয়েছিল। আর বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে এবং সামনে আরও দেবে।’

এর আগে, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার কন্যা ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী প্রমুখ।

/আরএআর/এমও/