‘প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের মনোভাব বদলাতে হবে’

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারাজন্মের পরপরই প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষায়িত সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবন্ধীরাও যেন অবদান রাখার উপযোগী নাগরিক হয়ে উঠতে পারে, সে জন্য তাদের সহায়তা ও সমর্থন দিতে হবে। সামগ্রিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি সমাজের মনোভাব বদলাতে হবে। মঙ্গলবার ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সোসাইটি ফর এডুকেশন অ্যান্ড ইনক্লুশন অব দ্য ডিজ্যাবলডের (সিড) আয়োজনে এবং এইচএসবিসি বাংলাদেশ ও ঢাকা ট্রিবিউনের সহযোগিতায় ‘চিলড্রেন উইথ ডিজ্যাবিলিটিস ইন মেইনস্ট্রিম স্কুলস: পারটেকিং বাই স্টেকহোল্ডারস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সিডের চেয়ারপারসন রঞ্জন কর্মকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শারমিন হক, এইচএসবিসি বাংলাদেশের ডেপুটি সিইও মাহবুব-উর-রহমান, সেভ দ্য চিলড্রেনের লায়লা করিম, অ্যাকশন-এইড বাংলাদেশের উন্নয়নকর্মী খায়রুল ইসলাম, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবাহান প্রমুখ।
বৈঠকে সিডের চেয়ারপারসন রঞ্জন কর্মকার বলেন, ‘কেবল সমাজ ও সমাজের প্রতিষ্ঠানই নয়, নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকেও নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির শিকার হয় প্রতিবন্ধী শিশুরা। তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ দিতে এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।’
বৈঠকে জানানো হয়, দেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৯ হাজার ১৭ জন। এর মধ্যে স্নায়বিক সমস্যার শিকার প্রতিবন্ধীর সংখ্যা দুই লাখ ২৫ হাজার আটশ ৮১ জন। প্রতিবন্ধী শিশুদের ভর্তি করতে এখনও অনেক স্কুল অনাগ্রহ দেখায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শারমিন হক বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার জন্য বিশেষ পাঠ্যক্রম প্রয়োজন। প্রতিটি জেলায় অন্তত একজন শিক্ষককেও যদি এই বিশেষায়িত শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করা যায়, তাহলে এই সমস্যাকে সহজে মোকাবিলা করা যাবে।’
বৈঠকে বক্তারা বলেন, কোনও শিশু প্রতিবন্ধী কিনা, তা যত দ্রুতসম্ভব শনাক্ত করতে হবে এবং তার প্রতিবন্ধিতার ধরনও একইসঙ্গে শনাক্ত করতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষায় তাদের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান বলেন, ‘এটা কেবল প্রতিবন্ধী শিশুদের সমস্যা নয়, এটা আমাদের সবারই সমস্যা। আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং ভবিষ্যতে এমন আরও সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করব বলে আমরা আশাবাদী।’
/টিআর/এমএনএইচ/