রাশেদ খান মেনন বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা হাঁটি হাঁটি পা করে এগোচ্ছি। গত দুই বছরে ট্যুরিজম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। তবে আমরা এখনও আন্তর্জাতিক ট্যুরিজমে প্রভাব ফেলতে পারিনি।
তিনি বলেন, পর্যটন সেক্টরের সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে গার্মেন্টস শিল্পের পরেই এই শিল্প থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ট্যুরিজম সেক্টর থেকে যা আয় হয় তার শতভাগই বাংলাদেশে থেকে যায়। কিন্তু, অন্য খাত থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশিরভাগই আবার বিদেশেই চলে যায়।
ট্যুরিজম সেক্টরে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে মেনন বলেন, ট্যুরিজম সেক্টরের উন্নয়নে সংবাদকর্মীরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। ট্যুরিজম নিয়ে প্রথমে অনেক নেগেটিভ নিউজ হতো। এটির অবশ্য ক্ষেত্রও ছিল। আমাদের অবকাঠামো তেমন ভালো ছিলো না। কুয়াকাটা যেতে ৪ টি ফেরি পার হতে হতো। কক্সবাজার যেতে অনেক সময় লাগতো। তাই স্বাভাবিকভাবেই নেগেটিভ নিউজ হতো। তবে এখন আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড(বিটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান খান কবির বলেন, ইমেজ সংকটে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বই ভুগছে। বার বার শুধু হলি আর্টিজানের দিকে তাকালেই হবে না। সবকিছুর পরেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরুপ চৌধুরী বলেন, টুরিস্টদের কনফিডেন্স ডেভেলপ করার একমাত্র মাধ্যম হলো মিডিয়া। এক্ষেত্রে মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ই-ভিসা হলে ভিসা প্রক্রিয়ার অনেক কিছুই সমাধান হবে বলে জানান তিনি। পার্বত্য অঞ্চলে বিদেশিদের প্রবেশে শিথিলতা আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তিনটি পার্বত্য অঞ্চলে বিদেশিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে একটু জটিলতা রয়েছে। এক্ষেত্রে শিথিলতা আনতে হবে।
এটিজেএফবি সভাপতি নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এটিজেএফবি এর সেক্রেটারি ইশতিয়াক আহমেদ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
/সিএ/টিএন/আপ-এসএনএইচ/