প্রভাষক নিয়োগে টিআইবি’র দুর্নীতির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান শিক্ষক ফেডারেশনের

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-র গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদপত্রে টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের সংগঠনটি।
ফেডারেশনের প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, টিআইবি’র অনেক অভিযোগই অনির্দিষ্ট, একান্ত মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যত না শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলায় হয়েছে প্রতিবেদনটি, তার চেয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশে প্রচার করা হয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদন ‘গণমাধ্যমে প্রচার কার স্বার্থে হয়েছে’ এমন প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিগুলোর এই সংগঠনটি। ফেডারেশন জানায়, ‘টিআইবি যদি প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রতিকার চাইত, তাহলে টিআইবি’র সদিচ্ছার পরিচয় পাওয়া যেত। তা না করে কার স্বার্থে গণমাধ্যমে প্রচার করে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্ব দরবারে বিতর্কিত করার হীন প্রয়াস নিয়েছে, তা অজানা।’
তবে প্রতিবাদপত্রে ‘ব্যক্তি বিশেষের দায়’ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় বলেও উল্লেখ করেছে ফেডারেশন। প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সমাজেরই অংশ। সমাজের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রভাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াটা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষ দায়ী হতে পারেন। কিন্তু তার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়।’
প্রসঙ্গত, গত রবিবার টিআইবি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণার তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রভাষক নিয়োগে ৩ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি রয়েছে প্রভাষক নিয়োগে।

/এসএমএ/এএ/