সব দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির আশা প্রকাশ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠকসব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। নতুন ইসি গঠন নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে বুধবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপকালে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রপতির উদ্ধৃতি দিয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য  আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানান।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ নির্বাচনে সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব।’

দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার বেলা সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। বৈঠেকে আওয়ামী  লীগ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ই-ভোটিং’ ব্যবস্থা চালু ও নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী পদ্ধতি হিসেবে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে বলেও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানান।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রেস সচিব জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন নিয়ে কোনও বিতর্ক হোক এটা তিনি চান না। জনগণ যাদের চাইবে, তারাই নির্বাচিত হয়ে সরকার পরিচালনা করবে। সেটাই আওয়ামী লীগ চায় বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।’

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে মরাষ্ট্রপতির গৃহীত যেকোনও ন্যায়সঙ্গত উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিপূর্ণ সমর্থন থাকবে বলেও সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনে আওয়ামী লীগকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি চার দফায় মোট ২৩টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছেন। সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা মধ্য দিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন তিনি।

এর আগে ২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে এ কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তাদের অধীনে ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

/ইএইচএস/এমএনএইচ/