বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠন করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এই ‘টাস্ক ফোর্স’ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিমানের ভাবমূর্তি উন্নয়ন, মুনাফার ধারাবাহিকতা রক্ষা ও সমস্যা চিহ্নিত করে দু’মাসের মধ্যে সমাধানের জন্য সুপারিশ দেবে মন্ত্রণালয়কে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিমানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যবেক্ষণ, এসেনশিয়াল সার্ভিস, শ্রমিকদের সংগঠন সিবিএ, বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের গতিবিধি নজরদারি কথা বলা হয়। এছাড়া, বিমানের পরিচালনা পর্ষদকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনার পরামর্শও দেওয়া হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি হবে। টাস্ক ফোর্স যদি কোনও পরিবর্তন করতে বলে তখন সেটি বিবেচনা করা হবে। বিমান বর্তমানে একটি কোম্পানি, ফলে এখনই বড় ধরণের কোনও পরিবর্তন হবে না। বিমান, সিএবি, এয়ারপোর্ট সংক্রান্ত যেসব ডিপার্টমেন্ট আছে সেগুলোর জন্য একটি বড় ধরণের কমিটি হবে। তারা দু’মাস ধরে দেখবেন কোথায়, কোন ধরণের সমস্যা রয়েছে। সেই কমিটি সুপারিশ করবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের ত্রুটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গঠিত ৩টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের সার সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পাঠানো হলে তা অনুমোদন পেয়েছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিমান ও সিএ উইং) আবুল হাসনাত মো.জিয়াউল হক। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বড় ধরণের কোনও পরিবর্তন আসছে না।’
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাত্র দুদিন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি পেয়েছি। আমরা বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করবো। বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকের পরে আমরা ঠিক করবো কর্মপদ্ধতি। আমরা একটি টাস্ক ফোর্স করবো। সবাইকে অন্তর্ভূক্ত করেই টাস্ক ফোর্স করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
/এমও/