সোম থেকে শনিবার মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে ঢাকায়!

প্রতিবাদ সমাবেশে মাংস ব্যবসায়ীরাআগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত ঢাকার সব মাংসের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাংস বিক্রি বন্ধ রাখা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি এ ঘোষণা দেয়।  

গত ৮ মাস ধরে গাবতলি গরু হাটের ইজাদারদের অত্যাচার, সরকারের আদেশ অমান্য করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় এবং ইজারাদারের বাহিনী দিয়ে মাংস ব্যবসায়ীদেরর ওপর নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ করেন সমিতির সদস্যরা। তারা আরও অভিযোগ করেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে বারবার আবেদন করলেও এর কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ছয়দিন মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছেন তারা। এই ছয়দিনের মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে অনিদ্রিষ্টকালের জন্য সারাদেশের মাংসের দোকান বন্ধ রাখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সহাসচিব রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘সীমান্ত থেকে গরুর হাট পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা গরু প্রতি চাঁদাবাজি হচ্ছে। সরকারের আদেশ অমান্য করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র আনিসুল হকের কাছে শত শত আবেদন করা হয়েছে, চাঁদাবাজির ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। মেয়র একাধিকবার এসব সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দিলেও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ইজারার শর্ত বাস্তবায়নে নানা ধরনের টালবাহানা করে যাচ্ছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘মাংসের মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। নিরুপায় হয়ে মাংস ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে গলা কেটে টাকা আদায় করছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘দুই সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র এবং শ্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা গোপনে ইজারাদারদের সহযোগিতা করছেন।’ ইজারার শর্ত অমান্য করায় হাইকোর্টে একটি রিটও আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল বারেকসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মাংস ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন।

/আরএআর/এফএস/

আরও পড়ুন- 


অপরাধীদের সঙ্গে সখ্য ছিল মেয়র মিরুর ছোট ভাই মিন্টুর