বিশ্বব্যাংকের যে ১৬ কর্মকর্তার গাড়ি তলব করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা

বিশ্বব্যাংক
শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের ১৬টি গাড়িসহ পাসবই তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব গাড়ি ও পাসবইসহ শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে হাজির হতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে নোটিশের জবাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস কর্তৃপক্ষ।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘যেসব গাড়ির তালিকা দিয়ে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে সেগুলো যারা ব্যবহার করতেন, তারা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেছেন। নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে মিশন প্রধানের এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করার কথা। কিন্তু সেটা করা হয়নি। তাই মিশন প্রধান এর দায় এড়াতে পারেন না। সেজন্য ২০০৩ সালের এসআরও (সেলফ রেগুলেটরি অর্গানাইজেশন) আইনের ২৩৭ ধারার ৯ (২) বিধি অনুযায়ী কাগজপত্রসহ ওই গাড়িগুলো তলব করা হয়েছে ।’

যেসব গাড়ি ও পাস বই তলব করা হয়েছে এবং সেগুলো বিশ্বব্যাংকের যে কর্মকর্তারা ব্যবহার করতেন তারা হলেন, ১. সুকন্তলা আকমিমানা। তার পাস বই নম্বর ০১/২০০৬। ২. ক্যাথিনোয়েল খো। পাস বই নম্বর ৪০/২০০৭। ৩. ভিনয়া সরূপ।  পাস বই নম্বর ৫০/২০০৬। ৪. ওসমান সেকেল। পাস বই  নম্বর ৫৫/২০১০। ৫. হোসেন এডগারদো লেডেজক্যামডস। পাস বই নম্বর ৬২/২০০৭। ৬. মিরভা টোলিয়া- তার পাস বই নম্বর ৭১/২০১১। ৭.  মি. ডেভিড। পাস বুই নম্বর ৭৩/২০০৭। ৮. গ্রিনা ইগরসিনা।  পাস বই নম্বর ৮০/২০০৭। ৯. মৃদুলা সিং। পাস বই  সিবিসি ০০৩৩/২০১৩। ১০. তাহসিন সায়িদ খান।  পাস বই  নম্বর ২৭/২০০৯। ১১. মায়ামি ইসোগেইন।পাস বই  নম্বর ৬০/২০০৬।১২. তানিয়া মানা।পাস বই নম্বর ৬৫/২০০৭। ১৩. সেরেন ওজের। পাস বই নম্বর ৮৫/২০০৭। ১৪. ফ্যাবিও পিটালুগা। পাস বই নম্বর  ৫২/২০০৭। ১৫. হেলেন জয় ক্রেইগ।পাস বই নম্বর  ০৯/২০০৮। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের প্রমিতা দাসগুপ্তের ব্যবহৃত গাড়িও রয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের এই ১৬ কর্মকর্তার ব্যবহৃত গাড়ির বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে মিশন প্রধানের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘শুধু বিশ্বব্যাংক নয়,আরও বেশ কিছু বিদেশি সংস্থার কাছে খুব শিগগিরই  নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।’ তবে ওইসব সংস্থার নাম এখনই বলতে রাজী হননি তিনি।

/জেইউ/এপিএইচ/