মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি সংসদে

 

জাতীয় সংসদ (ছবি: সংগৃহীত)মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী। বুধবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেন।

২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের মনোনীত হওয়া গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরউত্তমকে অভিনন্দন জানিয়ে তাহজীব আলম বলেন, ‘প্রথমেই তাকে অভিনন্দন। তবে অভিনন্দিত করার সঙ্গে এ কথাও অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে উল্লেখ করতে চাই, স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য এ পর্যন্ত মূলত উর্দিপরা লোকজনই পুরস্কৃত হয়েছেন।’ 

‘ইতিহাসের পূর্ণতাই হলো ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক ত্যাগের গৌরবগাথা এক ইতিহাসের ফসল। আর এই সুদীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের মহানায়ক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নির্দেশেই বাঙালির অধিকার আদায়ের পটভূমি তৈরি করেছিলেন তারই আস্থাভাজন ৬০ দশকের ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী ও পরবর্তী সময়ে মুক্তিযু্দ্ধের সংগঠক।

এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে ৮ জনের নাম উল্লেখ করেন। তারা হলেন, শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, আ.স.ম আব্দুর রব ও আবদুল কুদ্দুস মাখন। তাদের মধ্যে নূরে আলম সিদ্দিকী তাহজীব আলমের বাবা।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে তাহজীব আলম বলেন, ‘উর্দি পরা লোকেরা বিভিন্ন সময়ে বীর শ্রেষ্ঠ, বীর প্রতীক, বীর বিক্রমসহ বিভিন্ন খেতাব পেলেও মুক্তিযুদ্ধের  সংগঠকদের কোনও সরকারই সন্মানিত করেনি। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য পুরো উত্তাল মাস জুড়েই জাতিকে চূড়ান্ত সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য তৈরি করায় যাদের ছিল অবস্মরণীয় ভূমিকা, সেব চার খলিফা-খ্যাতদের অন্যতম আবদুল কুদ্দুস মাখনদের ভাগ্যে কিছু জোটে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ মূল্যায়িত হলেও ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক হিসেবে মূল্যায়িত হননি। তাকে অবিস্মরণীয় করে রাখার মতো কিছু করতে পারিনি। যে কারণে ৭৫ পরবর্তী সেনাশাসিত সরকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে একজন মেজর সাহেবের আকস্মিক ঘোষণা এবং নয় মাসের সশস্ত্র বিপ্লবে সীমাবদ্ধ করে রাখবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল ক্ষমতায় থাকার পরেও স্বাধীনতার ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না, এটি বিস্ময়কর। 

পরে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আপনি গুরুত্বপূর্ণ  কথা বলেছেন, কিন্তু নোটিশ দিয়ে কোনও বিধিতে আনলে ভালো আলোচনা হতো এবং হয়তো সংসদ গ্রহণও করত।

ইএইচএস/এমএনএইচ/