রাডার দুর্নীতি: দুদকের রিভিউ আবেদনও খারিজ

দুদক

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নতুন সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিল করে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যর বেঞ্চ এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন দুদকের পক্ষের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, রাডার ক্রয়সংক্রান্ত মামলাটি বিচারিক আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে এ মামলায় নুতন করে সাক্ষী নেওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকল না।
৮ জানুয়ারি রাডার ক্রয় সংক্রান্ত মামলায় নতুন সাক্ষ্য গ্রহণে দুদকের আবেদন খারিজ করেন আপিল বিভাগ। পরে এর রায়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করে দুদক।

এরশাদ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, বিমান বাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে মামলাটি এখন যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়ের করে। ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনে। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়।

১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত ওই মামলায় এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করেন।

/এমটি/ইউআই/এসটি/