বিমান সূত্র জানায়, প্রায় ১৭ দিন পর রাঙাপ্রভাত উড়োজাহাজের ইঞ্জিন সচল করতে বিমানের ১০ জন প্রকৌশলীকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। ভিসা জটিলতার কারণে এতদিন প্রকৌশলীরা সৌদি আরবে যেতে পারেননি। তবে দাম্মাম বিমানবন্দরে গিয়েও প্রকৌশলীরা দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ কারণে উড়োজাহাজটি সচল করতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে।এই উড়োজাহাজটি সাত দিন সি-চেক শেষে দাম্মামে গিয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাঙ্গাপ্রভাতের ইঞ্জিন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকল হলেও বিমানের প্রকৌশলীরা সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ১৪ মার্চ। তারা ১৫ মার্চ সকালে দাম্মাম পৌঁছালেও বিমানবন্দরে প্রবেশের পাস পান রাত ৮ টায়। প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার রুহুল কুদ্দুস ফারুকের নেতৃত্বে প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজ মেরামতে কাজ করছেন।
জানা গেছে, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী এই রাঙাপ্রভাতের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। এ ঘটনায় ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানবন্দর থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা (মামলা নম্বর ২৩)করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটারিয়াল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান।মামলার অভিযুক্তরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে উড়োজাহাজ সংকটে ফ্লাইট সিডিউলের বিপর্যয়ে পড়েছে বিমান।এমনকি যাত্রী কম হলে বাতিল করা হচ্ছে নিয়মিত ফ্লাইটও। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরাও।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘দাম্মামে গ্রাউন্ডেড থাকা উড়োজাহাজটি বহরে ফিরিয়ে আনতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিমানের ১০ জন প্রকৌশলীকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। তারা বোয়িংটির ইঞ্জিন মেরামতের কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ২২ মার্চের মধ্যে উড়োজাহাজটি সচল করতে সক্ষম হবেন প্রকৌশলীরা। কী কী ক্ষতি হয়েছে, তা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দেশে ফিরে আসার পর জানা যাবে। তবে ক্ষতি যা-ই হোক, সেটি ইন্সুরেন্স থেকে পাবে বিমান কর্তৃপক্ষ।
উল্ল্যেখ্য, বিমানের বহরে রয়েছে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ইআর, দুটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ।
/সিএ/ এপিএইচ/